আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি ও আশে-পাশের সবাইকে নিয়ে খুবই ভাল আছেন।
মহাবিশ্ব জয়ের স্বপ্ন মানুষের অনেক দিনের স্বপ্ন।আমরা সৌরজগতের প্রায় সকল জায়গায়ই অভিযান চালিয়েছি, কিন্তু প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমরা এখনো যথেষ্ট উন্নত না হওয়ায় আমরা এখনো আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ যাত্রার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু করতে পারি নি।আর মহাশূন্য অভিযান অতিরিক্ত ব্যায়বহুল হাওয়ায়কোন সাধারন বেক্তির পক্ষে মহাকাশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা নেওয়া প্রায় অসম্ভব।যদিও নাসা জানিয়েছে তারা হয়ত খুব তারাতারি সাধারন মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমনের সুযোগ করে দিবে।হয়ত এত দিনে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া ও হয়ে গিয়েছে।কিন্তু বাস্তবে তা এত বেশি ব্যায়বহুল হবে যে তা খুবই কম সংখ্যক মানুষের পক্ষে সম্ভব হবে।যাই হোক এবার আসল কথায় আসি,স্পেস এলিভেটর হল এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে মুলত পৃথিবীকে কক্ষপথের সাথে ক্যাবল যোগে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।এই প্রযুক্তির ফলে হয়ত সাধারন মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমনের দ্বার উন্মুক্ত হবে।কারন এই প্রযুক্তি শুরু হলে এটি হবে খুবই কাজের ও অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
স্পেস এলিভেটর এর ধারনাতে পৃথিবীকে কক্ষপথের সঙ্গে ক্যাবল যোগে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।ফলে তড়িৎচৌম্বকীয় শক্তির ব্যাবহারে মহাশূন্যযান উৎক্ষেপণ সহজতর হবে।যখন কোন বস্তু কক্ষপথের বাইরে ক্যাবল দ্বারা সংযুক্ত হবে, ক্যাবল এর ভরকেন্দ্র থাকবে জিওষ্টেশনারী কক্ষপথে(যে কক্ষপথে বিষুবরেখার উপর উপর স্থাপিত একটি স্যাটেলাইট পৃথিবীর ঘূর্ণনের সাথে সংগতি রেখে সদা ঘূর্ণায়মান রয়েছে,তাই এটিকে পৃথিবীর অনেকের কাছেই একই জায়গায় স্থির মনে হয়)।বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী কাবলের দৈর্ঘ্য হবে ৫০০০০ থেকে ১০০০০০ কিলোমিটার।সাধার নত মহাকাশযানগুলো একটি রকেট এর সাহায্যে উতক্ষেপন করা হয়। আর এটি একটি রকেটবিহীন মহাকাশ যান উৎক্ষেপণ বেবস্থা । আর আশা করা যায় এটি আগামি ১০-২০ বৎসর এর মধ্যে তৈরি করা সম্ভব হবে।এই স্পেস এলিভেটর এর ধারণাটি পৃথিবীর সেরা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক (আমার সবচে প্রিয় বৈজ্ঞানিককল্পকাহিনী লেখক) আর্থার চার্লস ক্লার্ক(C. clark) তার ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত উপন্যাস “দ্যা ফাউন্তেন অফ প্যাঁরাডাইস ” উপন্যাসে প্রথম প্রকাশ করেন।যাই হোক এটি হলে হয়ত অদুর ভবিষ্যতে আমরা না পারলেও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মহাকাশে যাবার সুযোগ পেলে পেতেও পারে!!
অনেক দিন সায়েন্স ফিকশন পরা হয় না