কেমন আছেন
সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আর ২০১২ সালের প্রথম পর্বে আজকের ১২তম কাহিনী পোষ্ট করা হবে। অনেকে ইমেইল এ জানতে চেয়েছেন যে হরর সেগমেন্ট কি অন্য কোন বাংলা ব্লগে প্রকাশ করা হয় কিনা, আসলে হরর সেগমেন্ট টা শুধুমাত্র টিউটারপেজ এ জন্য ডিজিটাল গ্রুপ এর একটি সেগমেন্ট। আমরা এই সেগমেন্ট অন্য কোথাও পোষ্ট করি না। এখন থেকে কাহিনী পাঠানোর নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যারা কাহিনী পাঠাতে ইচ্ছুক তারা হরর সেগমেন্ট এর যেকোন পর্বে কমেন্ট বক্সে এমএস ওয়ার্ড ফাইলে আপলোড করে দিতে পারেন। আমাদের ইমেইল এ প্রচুর গল্প রয়েছে তাই এই ব্যবস্থা। তবে একটি বিষয় এই যে, টিউনারপেজ শুধু বাংলাদেশে সীমাবন্ধ নয়। তার প্রমাণ আমাদের ইমেইল এ আসা বাহিরের দেশের লোকদের পাঠানো গল্প। প্রায় ৩৭টা ইংরেজিতে পাঠানো গল্প আমাদের হতে রয়েছে। আমরা চাইলে গুগল এর সাহায্যে সেগুলো বাংলায় করে দিতে পারতাম তবে এতে গল্পের আসল মজা পাওয়া যেত না তাই গত পর্বের মত ইংরেজিতেই পোষ্ট করা হবে।
আজ একটু বেশি কথা বলে ফেললাম। আমি টিজে সোলসষ্টোম আজকের হোষ্ট। আজকের কাহিনীটি একটু অন্যরকম। আজকের কাহিনীটি পাঠিয়েছেন জেসমিন আক্তার জান্নাত খুলনা থেকে। তিনি আমাদের টিজে নন।
আসুন শুরু করি। সরাসরি ইমেইল থেকে কপি-পেষ্ট করে দেওয়া হলঃ
আস্সালামুআলাইকুম। আমি জান্নাত খুলনা থেকে বলছি। আপনাদের সেগমেন্ট এ আমার গল্পটি ছাপালে খুবই খুশি হতাম। এটা আমার প্রথম কোন মিডিয়াতে লেখা পাঠানো। আশা করি ছাপাবেন।
কাহিনীটি আমার নয়। আমার মামার। তার বয়স বর্তমানে ৫৪। তো উনার বয়স যখন ৪২ ছিল মানে আজ থেকে ১২ বছর আগের ঘটনা সেটি। ২০০০ সালের প্রথম দিকে হঠাৎ করে মামার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। তখন ব্লক এর চিকিৎসায় প্রচুর টাকা লাগতো। তো মামা তার জমি-জমা সব বেঁচে দিতে চাইলেন। তখন আমার বাবার পরিচিত একজন হুজুর বাবকে বললেন যে তাদের এলাকায় একজন মহিলা আছেন যাদুকরি ক্ষমতার অধিকারি। যিনি জ্বিনের সাহায্যে মানুষের বহু রকম অসুখ সাড়াতে পারতেন। একথা শুনে একদিন মামাকে নিয়ে বাবা সেই মহিলাটির কাছে গেলেত। মহিলাটি মামার বুকে কিছুক্ষণ হাত রেখে সব বুঝতে পারলেন এবং বললেন যে মামার হার্টে ব্লক আছে এবং অপারেশন করতে হবে। মামা এবং বাবা ত চমকে গেলেন। সেই মহিলাটি বললেন আগামী শনিবার (৪দিন পর) অমাবস্যার রাতে মামার অপারেশন সম্পন্ন হবে। অপারেশন করতে মহিলাকে কোন টাকা-পয়সা দিতে হবে না শুধূ অপারেশন করার জন্য যেই টাকা লাগে সেটি দিতে হবে। মহিলা বাবাকে বললেন, যেই ঘরে অপারেশন হবে সেই ঘরে যেন কোন আলো প্রবেশ করতে না পারে। আপনারা কাল গজ কাপড় কিনে দরজা-জানালার ফাঁক ফোকরে যত খালি জায়গা রয়েছে সেগুলো ঢেঁকে দিবেন।
তো শনিবার রাত এসে গেল। মামাকে নিয়ে বাবা গেলেন আমাদের ৪র্থ তলার পরিত্যক্ত রুমে। মোট ৬ জন উপস্থিত ছিল অপারেশনের সময়। মামা,বাবা এবং বাবার ৪জন বন্ধু। মামাকে চিৎ করে শুয়ায়ে বাবা সামনের চেয়ারে বসলেন।
ঠিক রাত ১১:২০মিনিট এ মহিলাটি ঘরে প্রবেশ করলেন। তার পরনে কাল বোখরা ছিল। মহিলাটির হাতে শুধু একটি খালি বাক্সেট। তো মহিলাটি এসে মামার পাশে বসলেন। মামার বুকে হাত রেখে সূরা-কালাম পড়তে পড়তে বাবাকে বললেন রুমের লাইট নিভিয়ে দিতে।
ঠিক ১০-১৫মিনিট মহিলাটি সূরা-কালাম পড়ার পড় মহিলাটির আর কোন আওয়াজ পাওয়া গেল না। আর রুমটি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যেন কোন আলো ওই রুমে প্রবেশ করা সম্ভব ছিল না।
হঠাৎ একটি পুরুষের আওয়াজ শুনা গেল। তিনি মহিলাটিকে সালাম দিলেন। মহিলাটি সালামের উত্তর দিলেন। তারপর মামকে সালাম দিলেন। মামাও উত্তর দিলেন।
এরপর আরও ৩জন পুরুষের আওয়াজ পাওয়া গেল। তারা কোন ভাষায় কথা বলছে বাবা তা বুঝতে পারলেন না। মানে হিন্দিও না, বাংলাও না, আরবীও না। ১০-১৫মিনিট নিজেদের মধ্যে কথা বলার পর হাসপাতালে ছুরি-কাটা ইত্যাদি এক হাত হতে অন্য হাতে যাওয়ার সময় যেমন টুং-টাং শব্দ হয় তেমন শব্দ পাওয়া গেল।
প্রায় ঘন্টা-খানেক ধরে কোন আওয়াজ পাওয়া গেল না। এরপর হঠাৎ মহিলাটি বলে উঠলেন যে রুমের লাইট জ্বালাতে। বাবা রুমের লাইট জ্বালিয়ে দেখলেন যে মহিলাটির খালি বাক্সেট রক্ত মাখা তুলায় ভর্তি এবং মহিলাটি মামার বুকে তুলা চেপে আছেন এবং তুলার পাশ থেকে রক্ত পড়ছে। কিন্তু মহিলাটি আসার সময় শুধু খালি বাক্সটি নিয়ে রুমে ঢুকেছিল।
মহিলাটি বাবাকে তুলাটা ধরতে বলে নিজে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন। বাবা মামার তুলা তুলে দেখেন যে বুকে কাঁচা সেলাই।
এরপর মহিলাটিকে ওই এলাকায় আর পাওয়া গেল না। আজ অবধি মামা সুস্থ আছেন। তবে অপারেশনের পর মামা প্রচন্ধ ভয় পেয়েছিলেন যে একদিনের পরিচয়ে বুক এসে কেটে দিয়ে গায়েব হয়ে গেল। পরে ওই এলাকার এক বড় হুজুর মামকে সব বিস্তারিত খুলে বললেন। যারা মামার বুক কেটেছিল তারা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিল। আর মহিলাটির ব্যাপারে হুজুর কেমন কিছূ বলতে পারলেন না। শুধু এটুকু বললেন যে ওই মহিলাটির বাড়ি গাইবান্ধায়। একদিন মহিলাটি ¯^‡cœ দেখেন যে একটি আলো তাকে বলছে যে মানুষের সেবা কর। এরপর থেকে মহিলাটি এই পেশায় নিয়োজিত। বড় কোন অপারেশনের পর মহিলাকে ওই এলাকায় আর দেখা যায় না।
যেহেতু কাহিনীটি আমার বাবার মুখ থেকে শোনা তাই অনেক অংশ এখানে বাদ গেছে। বাবা আজ বেঁচে নেই । তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ।
এই ছিল আজকের কাহিনী। বড়ই রহস্যময় ঘটনা। সামনের পর্বে সবাইকে আমন্ত্রণ।
শুভরাত্রি।
ভয় পাই নাই…
ভাই এইটা তো রাডিও ফুর্তি এর ভুত FM এর থেকে কপি করা গল্প…….
রহস্যময় ঘটনা, কিন্তু ভয় লাগে নাই ।
Hmmm valo