Latest posts by maximgalin (see all)
- জুনেই অ্যাপেল আনছে ৯টি নতুন জিনিস! - 27/09/2018
- নতুন মোবাইল কেনার আগে যে বিষয়গুলি জানা উচিত - 05/04/2018
- মাইক্রোসফট দেবে ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা! করতে হবে এই কাজটি - 04/04/2018
মোবাইল ফোন কেনার আগে অনেকেই অনলাইনে ফোন রিভিউ দেখেন অথবা পরিচিতদের বিভিন্ন ফিচার সম্পর্কে নানা ধরনের প্রশ্ন করেন। সঠিক ফোন কেনা হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে অনেক সময় উদ্বিগ্ন থাকেন। মোবাইল ফোনের দরকারি কিছু বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হল যেগুলো নতুন ফোন কেনার সময় অবশ্যই দেখে নেয়া উচিত।
স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে নকশা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা একান্তই নিজের পছন্দের ব্যাপার, কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কিছু নেই। শুধু দেখতে সুন্দর নয়, তা আপনার ব্যাক্ত্বিতের সাথে কতটা মানানসই সেটা অবশ্যই দেখে নিন।
সঠিক আকারের ডিসপ্লে :
নতুন মোবাইল কেনার সময় স্ক্রিনের আকারটি সবাই দেখেন। এখনকার যুগে বড় স্ক্রীনের মোবাইল বেশি জনপ্রিয়। তবে সহজে বহন করতে চাইলে ছোট স্ক্রীনের মোবাইল নেওয়া উচিত।
প্রসেসর :
কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরটি বর্তমান সময়ে প্রায় সব ফোনেই দেখা যায়। ৮০৫ চিপসেটটি খুব ভালো মানের। ফোনের কার্যক্রমে দ্রুততার জন্য প্রয়োজন র্যাম, র্যাম যত বেশি হবে ফোনে তত দ্রুত কাজ করা যাবে। সাধারণত ৫১২ মেগাবাইট থেকে ১ জিবির র্যামই যথেষ্ট। তবে বাজেট বেশি হলে ২ জিবির মোবাইল ফোনগুলো অনেক ভালো হবে, একসাথে বিভিন্ন সফটওয়্যার চালাতে সমস্যা হবে না বা সেট স্লো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই ।বাজারে বর্তমানে ৩ জিবি পর্যন্ত র্যামের সেট পাওয়া যাচ্ছে।
ক্যামেরা রেজ্যুলেশন :
ক্যামেরা রেজ্যুলেশন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে পরে না।কারণ ভালো মানের ছবি তোলার কাজ ক্যামেরার, মোবাইল ফোনের নয়। তবে মোবাইল এবং ক্যামেরা একসাথে দুটি কাজ চালিয়ে নিতে চাইলে যে মোবাইলে বেশি রেজ্যুলেশন আছে তা দেখে কিনতে হবে।
ব্যাটারি :
মোবাইল ফোনটি কেমন, তার ওপর ভিত্তি করে ব্যাটারির শক্তি নির্ধারিত হয় । তবে বড় পর্দার মোবাইল বেশি ব্যাটারি ব্যয় করে। তাই শক্তিশালী ব্যাটারি প্রয়োজন হবে মোবাইলটি অনেক সময় ধরে চালু রাখার জন্য। এখন ৩০০০ এমএএইচ সবচেয়ে বেশি শক্তির ব্যাটারি হিসেবে বাজারে চালু রয়েছে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই ভারতীয় একটি কোম্পানী ৫৪০০ এমএইচ পাওয়ারের ব্যাটারী যুক্ত মোবাইল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ।
ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার :
আমাদের দেশে থ্রি-জি কানেকশন চালু হয়েছে। ডাটা কানেকশনের গতি নির্ভর করে এর ওপর। আরো দ্রুত কানেকশন দেয় ফোর-জি। এ যুগের স্মার্ট ফোনের জন্য থ্রি-জি কানেকশন নিতে পারে এমন মোবাইলই বেশি ভালো।
অপারেটিং সিস্টেম :
বর্তমানে বেশ কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় সিস্টেম। এদিকে আইফোনের রয়েছে আইওএস যার সাম্প্রতিকতম সংস্করণ হলো আইওএস ৭। আবার উইন্ডোজ অপারেটিংয়ের ভক্তের সংখ্যাও কম নয়। আর অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করেই গোটা ফোনের সব কার্যক্রম নির্ধারিত হয়।