This story is from TJ unselected Tuner………
একটি ভদ্র ও আদর্শ গ্রাম হাজিরপাড়া। অত্র এলাকার সবচেয়ে ভাল ও আদর্শ গ্রাম এটি। এই গ্রামে মাত্র একটি উচ্চ বিদ্যালয়। নাম “হাজিরপাড়া হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়”। বিদ্যালয়টিও এলাকার একটি নাম করা বিদ্যালয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, এখানে অংককের শিক্ষক মাত্র এক জন। শিক্ষকও এই এলাকার একজন ভাল ও মান সম্মত শিক্ষক। সবাই তাকে অনেক সম্মান করেন।
স্যারের নাম “মাখন”। বয়স আনুমানিক ৪০ এর কাছাকাছি। কিন্তু এখনও বিয়ে করেন নি। সায়েন্সের ছাত্র তো, তাই তিনি আবার ভূত এ বিশ্বাস নন। স্যার থাকেন বিদ্যালয়ের কাছাকাছি একটি ঘরে। স্কুলের সামনে এক বিরাট মাঠ। মাঠের এই প্রান্তে স্কুল, অপর প্রান্তে স্যারের ঘর। স্যার একলাই থাকেন।
আজ অমাবস্যার রাত। সবাই অমাবস্যার রাতে ঘর থেকে বের হয় না ভূতের ভয়ে। স্যার তো এই সবে বিশ্বাসই করেন না। যাক, রাত আনুমানিক ১২.০০ থেকে ১২.৩০ টার দিকে, স্যার তার ঘরে নিত্যদিনের মতোই বই পড়ছেন। হটাৎ, তিনি একটা মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে ফেলেন। মনে হল, ঘরের সামনেই কে যেন কাঁদছে। স্যার বললেন, “কে?”। কোন উত্তর নেই। স্যার ঘরের দরজা খুলে বের হলেন, অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছে না। ঘর থেকে হারিকেনটা নিয়ে এসেও কিছুই দেখতে পেলেন না। একটু অপেক্ষা করলেন আবারও সেই কাঁন্নার শব্দ, “ও ও ও ও এ্যা এ্যা এ্যা…”। মনে হয় স্কুল থেকে আসছে। স্যার এগিয়ে গেলেন স্কুলের দিকে। এখন আর কাঁন্নার শব্দ নেই। কিছুক্ষণ পর আবারও কান্না শুরু হল। স্যার শুনলেন, এবারের শব্দটা আসছে স্কুলের পিছন থেকে।
স্কুলের পিছনে কিছু জঙ্লা ও ঘন গাছ-পালা নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি ছোট খাট বন। খুবই অন্ধকার জায়গা। স্যার ঐ দিকে গেলেন। হটাৎ দেখলেন একটা সাদা শাড়ি পারা মেয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁনছে। হারিকেনের আলো আসতে দেখেই মেয়েটি তার শাড়ির আঁচল আরও সামনের দিকে টেনে দিল।
স্যারঃ তুমি কাঁদছ কেন?
মেয়েঃ আমাকে আমার স্বামী ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।
স্যারঃ তো, এখানে কি করছ? যাবে কোথায়?
মেয়েঃ আমার বাড়ি এখান থেকে আরও ২/৩ গ্রাম দূরে। রাত হয়ে গেছে, তাই কোথাও যেতে না পেরে এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছি।
স্যারঃ তোমার যদি আপত্তি না থাকে, তাহলে তুমি আমার সাথে আজকে থাকতে পার। আমি তোমাকে কালকে সকালে বাড়ি পোঁছে দিব।
.
.
.
.
.
.
.
আজ মাখন স্যারের বিদায়ী অনুষ্ঠান। স্যারের স্কুলে মেয়াদ শেষ। এখন তিনি অবসরে যাবেন। তাই বিদায়ী অনুষ্ঠান। সকল ছাত্র-ছাত্রী কাঁন্না কাটি করে শেষ। সবাই স্যারকে বিদায় অনুষ্ঠানে বরণ করে নিল। আগামি কালকে স্যার পুরাপুরি ভাবে বিদায় হয়ে যাবেন।
আজও সেই অমবস্যার রাত। খুবই অন্ধকার রাত। রাত ১২.০০ থেকে ১২.৩০ মিনিটের দিকে স্যার বই পড়ছেন আর ছাত্র-ছাত্রীদের সাথের পুরাতন স্মৃতিগুলো মনে করছেন।
হটাৎ করে দরজায় একটা শব্দ হল, “ঠক ঠক ঠক ঠক”।
– কে?
– স্যার আমাকে চিনবেন না, একটু দরজাটা খুলুন।
স্যার মনে করেছেন, হয়ত কোন ছাত্র এসেছে বিদায় জানতে। দরজা খুললেন। কালো টুপ, কালো শার্ট, কালো প্যান্ট, কালো কোট পরা একজন লোক দাঁড়ানো।
– ভিতরে আসেন।
– আচ্ছা স্যার, অনেক দিন আগে একটা মেয়েকে এক রাতে স্কুলের এদিকে কাঁদতে দেখেছেন?
– এতদিন পর এটা কোথ থেকে আসল? আপনি কে?
– আমি ঐ কেসের একজন গোয়েন্দা। ঐ রাতের পর আর মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। আপনি কি কিছু জানেন?
– না, আমি কোথা থেকে জানব?
– মিথ্যা বলবেন না, স্যার। আপনি মেয়েটিকে ঘরে আনতে চাইলেন মেয়েটি রাজি হল। আপনি ও মেয়েটি ঘরে আসলেন। আপনি চা বানাতে রান্না ঘরে গেলেন। মেয়েটি বলল, “আপনি কষ্ট করছেন কেন? আমি চা তৈরি করে দিচ্ছি।” তারপর আপনি চলে আসলেন ও মেয়েটি চা তৈরি করতে লাগল।
হটাৎ করে লোকটি তার মাথায় হাত দিয়ে তার মাথাটা ধরে আলাদা করে ফেলল। মাথাটি স্যারের সামনে টেবিলের উপর রাখ। এরপর লোকটি বলেই চলল-
-মেয়েটি ছিল অনেক সুন্দরি ও যুবতী। আপনার বহুদির অতৃপ্তি ও বাজে একটা ইচ্ছা হল। আপনার মেয়েটির উপর চোখ পড়ল। এক সময় আপনি মেয়েটিকে ধষর্ণ করেন ও বালিশ চাপা দিয়ে মেয়েটিকে মেরে ফেলেন।
মাথা বিহীন লোকটি তার হাতের পাঁচ আঙ্গুল দিয়ে টেবিলের উপর টোকা দিতে লাগ
-মেরে ফেলার পর আপনি মেয়েটিকে একটি ব্যাগের মধ্যে ঢুকালেন ও সাথে কয়েকটি ইটও দিলেন। যাতে ব্যাগটি যাতে পানিতে না ভাসে উঠে সেই জন্যই আপনি ব্যাগের মধ্যে ইট দিলেন। তাই না?
স্যারের হাত পা প্রায় অবশ হওয়ার মতো অবস্থা এই সব দেখে ও শুনে
হটাৎ স্যার শুনতে পেলেন কিছুটা একটা যেন তার পিছন দিক থেকে আসছে। স্যার যে জায়গায় বসেছেন, তার পিছনেই দরজা। হটাৎ করেই একটি মেয়ে বলে উঠল (মেয়েটি ভেজা কাপড়ে এসেছিল),…
– স্যার, আমি তো আপনার প্রেমে পড়ে গেছি। আপনাকে আমি চাই। আপনি আমারে আপনার আপনার করে নেন।
স্যার এই কাহিনী থেকে স্যার হার্টএট্যাক করে মারা গেছেন।
পরের দিন সকাল বেলা, স্যারকে বিদায় জানাতে ছাত্র-ছাত্রীরা এসে দেখে স্যার নিচে পড়ে আছে। কিন্তু স্যারের ঘর ভেজা কেন? ভিজে এমন শ্যাত সেতে হল কীভাবে?????????????????????
অনেক আগে গল্পটি পড়েছিলাম। আনুমানিক ১ বছরের উপর হবে হয়ত। মনে নাই। অনেক কিছুই আমার নিজের লেখা।
Today segment has some change. Cause me TJ Fuska Oyaly is posting the post.
Okay??
এটা কি real or banan????
আমার মনে হয় গল্পের থীমটা ভালো, তবে চাইলে আরো ভালো করা যেতে পারতো !
যাহোক চালিয়ে যানে !
সহমত.
এটা কোন ভুতের গল্পে পড়ে না আজব প্যাঁচাল। কেন যে তারা এইটাকে পছন্দ করলো। মামা বাড়ির আবদার হা হা হা
নাহ! আপনার সঙ্গে গেলো না! তবে মাঝে মাঝে আজগুবি লেখা ভালোই লাগে! :)
হা হা হা হাহা। আমার কল্পীত লেখা তাহলে ছাপা হল। ওহহ চমৎকার :)
ভাই এইটা আপনার লেখা????
আপনি ভুতের গল্প ও লিখতে পারেন???