সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রোফাইল থেকে ব্যক্তিগত ছবি দেখতে পারছেন অন্যরা। এর মাধ্যমে সবাই ছবি, ভিডিও, ব্যাংক একাউন্টের বিস্তারিত তথ্যসহ আরো বহু জরুরি বিষয় লেনদেন করি। মাসে ৭০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। মাসে ৩০ বিলিয়ন মেসেজ চালাচালি হয় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। এখানে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলকে নিরাপত্তা দিতে টিপস নিন।
১. লোক হোয়াটসঅ্যাপ : একে রক্ষা করতে হবে পাসওয়ার্ড বা পিন দিয়ে। এটিই সবচেয়ে বড় কাজ। তবে হোয়াটসঅ্যাপ এই অপশন দেয় না। তবে এটি থার্ড-পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে করা যায়। ফোনটি হারিয়ে গেলে সত্যিই বিপদে পড়বেন আপনি। তাই চ্যাট লকস, লক ফর হোয়াটসঅ্যাপ এবং সিকিউর চ্যাট নামের অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
২. ব্লক হোয়াটসঅ্যাপ ফটো : এই অ্যাপের কনভারসেশন আলাদা আলাদা ‘পারসোনাল নোট’-এ লিপিবদ্ধ থাকে। ছবি শেয়ারিং করার পর আপনি চাইবেন জেনারেল ফটোস্ট্রিম-এ থাকবে। আইফোন ব্যবহারকারীরা ফোনের সেটিংস মেনুতে গিয়ে প্রাইভেসি, ফটো-তে যান। সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বাদ দিয়ে দিন। আর অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ফাইল এক্সপ্লোরার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ এর ছবি এবং ভিডিও ফোল্ডার বের করুন। সেখানে ‘.nomedia’ ফাইল তৈরি করুন। এটি অ্যান্ড্রয়েড গ্যালারির স্ক্যানিং বন্ধ করবে।
৩. শেষ দেখা টাইমস্ট্যাম্প হাইড করুন : আপনি কখন অনলাইনে আসেন বা আসেন না, তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য। স্ক্যামাররা সহজেই জানতে পারবেন আপনি কখন হোয়াটসঅ্যাপে কাজ করছেন আর কখন করছেন না। শেষবার দেখার সময়টি না দেখাতে চাইলে প্রোফাইলে যান। প্রাইভেসি মেনু থেকে এটি বন্ধ করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যদের শেষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের সময়টি বুঝতে পারবেন না আপনি।
৪. প্রোফাইল ছবিতে গোপনীয়তা : প্রোফাইলের ছবি না দেখাতে চাইলে প্রাইভেসি মেনুতে গিয়ে ছবি শেয়ারিং এর অংশে ‘কন্ট্যাক্টস অনলি’ করে রাখুন।
৫. স্ক্যামস খুঁজে বের করুন : হোয়াটসঅ্যাপ কখনো চ্যাটিং, ভয়েস মেসেজ, পেমেন্ট, পরিবর্তন, ফটো, ভিডিও ইত্যাদি বিষয়ে আপনার কাছে কিছু পাঠাবে না। যদি আপনি কোন কারনে তাদের সাহায্য চেয়ে ইমেইল করেন, তবেই তারা কিছু পাঠাবে। এ ক্ষেত্রে হোয়াসঅ্যাপ কিছু অফার করছে বা অন্য কিছু দেখলেই বুঝবেন এগুলো স্ক্যামস।
৬. অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা : ফোনটি হারিয়ে গেলে অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ ‘ডিঅ্যাক্টিভেট’ করুন। ফোন হারালে সিম কার্ডটি নিশ্চয়ই লক করে দেবেন। একই সঙ্গে নতুন সিম তুলে আগের নম্বরে পুরনো হোয়াসঅ্যাপটি চালু করুন। একটি নম্বরে একটি প্রোফাইল খোলা যায়। কাজেই হারানো ফোনেরটি বন্ধ হয়ে যাবে।
৭. সাবধানে তথ্য দিন : ডিজিটাল তথ্য যেভাবে পাঠাচ্ছেন, সে বিষয়ে নিজের সাবধান থাকতে হবে। ব্যক্তিগত নম্বর, ইমেইল, ঠিকানা ইত্যাদি না পাঠানোই ভালো। আর ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নম্বর বা অ্যাকাউন্ট নম্বর তো ভুলেও পাঠাবেন না।
৮. লগ আউট করতে ভুলবেন না : হোয়াটঅ্যাপ ওয়েব চালু হয়েছে। এটি করা হয়েছে কম্পিউটারে কাজের সুবিধার জন্যে। তাই এখন থেকে হোয়াটঅ্যাপে কাজ করার পর অবশ্যই লগ আউট করতে ভুলবেন না।