আমি অপরূপ এই পৃথিবী রূপে সৃষ্ট এক ললনাকে ভালবাসি। অথৈ জলে সমুদ্রস্নাত ললনাটি জানেনা আমার অকৃত্রিম ভালবাসার কথা। কারণও আছে বৈকি অনেক। আমি যোগ্য সুপুরুষ কিনা সেটাই এখনো আমার মনের জানালায় উকি দেয়নি। যাকে কোনদিন পাওয়ার আশা নেই তাকেই হৃদয়ের গহীনে দীর্ঘদিন লালন করতে ইচ্ছে হয়। প্রতিটি স্নিগ্ধ সকাল আমার শুরু হতে চায় তার সোয়া চান বদনে দৃষ্টি নামক বৃষ্টি দিয়ে। যেদিন দেখতে না পাই সেদিনটি কাটে আমার বৃষ্টিহীন জৈষ্ঠ্যের খরতাপে। খা খা করা সেই গ্রীষ্ম আর খরতাপ যখনই আমার তপ্ত হৃদয়টাকে ছারখার করে তখনই সেই মায়াবী রূপযৌবনাটিকে আমার দেখতে ইচ্ছা করে। তাকে দেখতে পেলেই আমার মনটা ভরে যায় একরাশ শরতের সোনালী শিশির ঝরা ঝিরঝিরে হাওয়ায়। একটু ভালবাসা পেতে ইচ্ছে করে। সমুদ্র সৈকতে অস্তমিত সূর্যের দৃশ্য অভিভূত হয়ে সেই মায়াবী পরিবেশে তার হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে ভালবাসার কথা বোঝাতে বড্ড ইচ্ছে করে। তাকে তখন সাজাতে ইচ্ছে করে নীল সমূদ্রের শাড়ীতে। জোৎস্নাস্নাত পূর্ণিমার মিঠে আলোতে তার চিকচিকে চুলগুলো স্পর্শ করতে। কখনো ইচ্ছে হয় বেলীফুল হয়ে তার খোঁপায় ঝুলতে। জোছনা রাতের মেঘবালিকারা হঠাৎই বিলীন হয়ে যায় আমার নগ্ন আকাশ থেকে যখন দেখি আমার কল্পনার সেই নিদ্রাদেবীর ছায়া অস্পষ্ট। আলো আধারে খেলা করা কোন নির্জন থিয়েটারের স্বাগত অভিনেত্রী আমার কল্পনার মহুয়া। হঠাৎই আমার সম্মুখে পটলচেরা আঁখিযুগল আবার মাঠের পর মাঠ হাতরিয়েও খুঁজে পাইনা তাকে। হঠাৎই খুজে পাই। অতি সাধারণ আর রুচিশীল পোষাকে সজ্জিত অদ্ভুত নারীত্ব আর অপরূপ যৌবনের পূর্ণিমা। প্রতিটি পদক্ষেপ চকিত আর মায়াজালে ভরা। অতি চমৎকার এই মায়াবীনীকে দেখলেই কাঠ ফাটা গ্রীষ্মেও আমার ভরা বসন্ত এসে যায়। মনটা ভরে যায় অসম্ভব ভাল লাগায়। আবারো হারাই এবং খুঁজি।
স্বপ্নে তার উষ্ণ উষ্ঠে আলতো করে নিজের উষ্ঠ ডুবাই। কখনো বেড়াতে যাই গহীন অরণ্যে। কখনো গভীর রাতে ছাদে বসে নিস্তব্ধ অন্ধকারে যৌবনালোতে প্রকৃতি উপভোগ করি। কখনো সুন্দর বেনারসীতে তাকে সাজিয়ে নিজেই দর্পন হয়ে দাড়িয়ে থাকি তার উত্তপ্ত যৌবনাবেশের অলীক আকর্ষণে। আবার কখনো সেই মানুষটির ঘামভরা কপোল মুছে দেই আপন মমতার রুমালে। আমি তাকে ভুলতে চাই কিন্তু পারিনা। আমি উপেক্ষিত ও অবহেলিত। আমার দু’নয়নে গ্রীষ্মের তপোবন আর বসন্তের ঝিরঝির হিল্লোল ছাড়াও আছে শ্রাবণের অঝর ধারা। আরো উপেক্ষা আর বঞ্চনা আমি পেতে চাই না। আমি তাকে ভুলতে পারিনা কেন? মনকে বোঝাই কিছু দুর্বল যুক্তির বেড়াজালে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল কিংবা সুকান্ত কেউতো তাদের সাহিত্যে ভুল করেও লিখে যায়নি যে যাকে ভালবাসবে তাকে পেতেই হবে। আর আমার ভালবাসা সেতো পড়ন্ত বিকেলের এক চিলতে রোদের মতো উঁকিও দেয়নি। ভালবাসা সেতো বিশাল স্নিগ্ধ আর পরম মমতার এক সুন্দর অনুভূতি। ভালবাসা মানে স্নিগ্ধ সকাল, সবুজ মাঠ, বৃষ্টিতে ভেজা না বলা কিছু অনুভূতি- আরো অনেক কিছু। ভালোবাসা মানে কষ্ট, সততা ও সংযম। কারণ মনীষীরা বলেছেন- সব সুন্দরেরই থাকে কেবল মাত্র একটিই বসন্ত। আমি আমার সুন্দরের বসন্ত হতে পারবো কিনা জানিনা তবে আমার সুন্দরের বসন্তটা যেন ভরে থাকে পলাশ আর কৃষ্ণচুড়ার সুরভিত সাজে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
অনেক সুন্দর লিখেছেন।
thanks