আমরা অনেকেই কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাছাড়া, নিজেদের প্রয়োজনেই হার্ডওয়্যার সম্পর্কে অনেক কিছু জানার দরকার হয়। আজ আমি তেমই একটি বিষয় সম্পর্কে জানাব। তা হল পেন্টিয়াম ডি এবং পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর, এদুটির মধ্যে পার্থক্য কি , এদের মধ্যে মিল কি , কোনটা ভালো ইত্যাদি। হয়ত বলবেন, পেন্টিয়াম ডি আর পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর দুটিই পুরো ভিন্ন এবং ডুয়েল কোর যেহেতু পরে এসেছে তাই ডুয়েল কোরই ভালো। আসলে এ ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। কি, অবাক হলেন ? অবাক হওয়ার কিছু নেই। আসুন তাহলে দেখে নিই এদের মধ্যে মিল ও অমিল আর তখন আপনি নিজেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
আসলে পেন্টিয়ার ডুয়েল কোর এবং পেন্টিয়াম ডি দুটিই কিন্তু ইন্টেলের তৈরি করা প্রসেসর। ইন্টেলের আগেই AMD ডুয়েল কোর প্রসেসর তৈরি করে। আর তাদের সাথে পাল্লা দেয়ার জন্যই ইন্টেল প্রথমে তৈরি করে পেন্টিয়াম ডি। এবং পরবর্তীতে পাল্লা দেয়ার ক্ষেত্রে আরো মজবুত অবস্থান করে নেয়ার জন্য তারা তৈরি করে পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর প্রসেসর।
পেন্টিয়াম ডি এবং পেন্টিয়াম ডুয়েল কোরের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ যে পার্থক্য তা হল পেন্টিয়াম ডি প্রসেসর খুব বেশি তাপ উৎপন্ন করে এবং এটি অনেক পাওয়ার টানে বা বিদ্যুর খরচ করে। এর The thermal design power (TDP) এর মান 95-130W যেখানে পেন্টিয়াম ডুয়েল কোরের The thermal design power (TDP) এর মান 65W।
২য় পার্থক্য যেটা, তা হল, পেন্টিয়াম ডি এর ক্লক স্পীড এর সর্বোচ্চ সীমা পেন্টিয়াম ডুয়েল কোরের চেয়ে অনেক বেশি। সর্বোচ্চ ৩.৭ গিগাহার্জ ক্লকস্পীডের পেন্টিয়াম ডি প্রসেসর তৈরি হয়ে থাকে। অন্যদিকে পেন্টিয়াম ডুয়েল কোরের ক্লকস্পীডের সর্বোচ্চ সীমা হয় ৩.০ গিগাহার্জ পর্যন্ত।
তৃতী পেন্টিয়াম ডি মূলত তৈরি করা হয়েছে ডুয়েল কোর হিসেবেই তবে এর আর্কিটেকচারাল ডিজাইনে পেন্টিয়াম ৪ টেকনোলজী ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে দুটি পেন্টিয়াম ৪ এর কোরকে পাশাপাশি বসানো হয়েছে যারা নিজেদের মধ্যে L2 cache শেয়ার করে না অর্থাৎ independently কাজ করে। অন্য দিকে পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর তৈরি করা হয়েছে কোর টেকনলজী ব্যবহার করা হয়েছে,এক্ষেত্রে L2 ক্যাশ শেয়ার হয়ে থাকে।
পেন্টিয়াম ডি এর সিরিজ নাম্বার গুলো হল 805, 820, 830 & 840 (রিলিজ হয় ২০০৫ এ ) , 915, 920, 925, 930, 935, 940, 945, 950, 960 (রিলিজ হয় ২০০৬ এ)
পেন্টিয়াম ডুয়েল কোরের সিরিজ নাম্বারগুলো হল E2140, E2160, E2180, E2200 (রিলিজ হয় ২০০৭ এ) & E2220 (রিলিজ হয় ২০০৮ এ)
পেন্টিয়াম ডি শুধুমাত্র ডেস্কটপেই ব্যবহার করা যায় , ল্যাপটপে নয়। পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর দুই ক্ষেত্রে ব্যবহার্য।
পরিশেষে, পেন্টিয়াম ডি আর ডুয়েল কোরের মাঝে পার্থক্য থাকলেও একে মূলত বলা হয় ইন্টেল পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর কারণ AMD এর ডুয়েল কোরের বিপরীতে এটি তৈরি করা হয়, এবং এটি তৈরি করে ইন্টেল এবং তৈরির টেকনোলজী ভিন্ন হলেও এক্ষেত্রে ডুয়েল অর্থাৎ দুটি কোর ব্যবহার করা হয়।
প্রিয় বন্ধু, আপনাকে ধন্নবাদ শেয়ার করার জন্ন…………. নতুন কিছু শিখলাম………………..
অনেক কিছু শিখলাম। ধন্যবাদ।
“কপি পেস্ট করার দায়ে এই টিজে কে স্থায়ী ভাবে ব্লগ থেকে ব্যান করা হল। অ্যাডমিন প্যানেল। টিউনারপেজ”
ধন্যবাদ টিউনার পেইজ কে স্থায়ী ভাবে ব্লগ থেকে ব্যান করার জন্য।
ও ও ও ও ও ও ……….
এই তাহলে কথা….দারুন জিনিস…
ধন্য++++++++++
চমৎকার লিখেছেন, এইটা নিয়ে আমারো জানার আগ্রহ ছিলো :)
খুব মূল্যবান পোস্ট করেছেন ।ধন্যবাদ