সামাজিক মিডিয়া ও মানুষের জীবনে এর প্রভাব নিয়ে বই লিখছেন ফেসবুক সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের বড় বোন র্যান্ডি জুকারবার্গ। সামাজিক গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটের নীতি নির্ধারক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এ নারী টাইম ম্যাগাজিন ও হলিউড রিপোর্টারসহ বিভিন্ন প্রকাশনায় ডিজিটাল দুনিয়ার শীর্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
ফেসবুকের সাবেক বাজার উন্নয়ন কর্মকর্তা র্যান্ডির লেখা প্রথম এ বইটির নাম ‘ডট কমপ্লিকেটেড : আনট্যাঙ্গলিং আওয়ার উইয়ার্ড লাইফ।’ সামাজিক মিডিয়া সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বইতে তিনি লিখেছেন, “স্মার্টফোন ব্যবহার করে আমরা যখন সামাজিকতায় মেতে আছি তখন হয়তো অলক্ষ্যেই ‘জীবন’ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবন থেকে।” এতে ছোটবেলা এবং প্রথমদিকে ফেসবুক ব্যবহারের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন তিনি।
র্যান্ডি বলেছেন, সামাজিক মিডিয়ায় নিজের ব্যক্তিগত জীবন এবং আশপাশে কী ঘটছে সব কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অনেককেই যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয়। ‘ফেসবুকের মতো সামাজিক মিডিয়াগুলোর কল্যাণে শতকরা ২৬ ভাগ খবরই আমরা পাই নতুন এ মাধ্যম থেকে, কোনো খবরই আর আমাদের অজানা থাকে না। এ ছাড়া স্মার্টফোনের কারণে আমরা দূরে থেকেও পরিবারের কাছে থাকতে পারি। এগুলো যেমন সামাজিক মিডিয়ার ভালো দিক তেমনি একে অন্যের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থাকায় সবার মেইল, টেক্সট মেসেজের উত্তর দেয়ার চাপে থাকতে হয় আমাদের; যা কিনা আমাদের নিজস্বতা বা প্রতিভার ক্ষতি করতে পারে।
আমার ধারণা, প্রযুক্তিবিদরা বিরতি দেয়ার কথা বললে অনেকেই অবাক হবেন; কিন্তু এ বিরতি ছাড়া পৃথিবীকে বদলে দেয়ার মতো আবিষ্কারগুলো করা যেত না।’ প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের জন্য জুকারবার্গের পরামর্শ হচ্ছে অনলাইনে থাকুন এবং জেনে নিন কখন ‘শেয়ারের’ পরিবর্তে কোনো কিছু ‘বাতিল’ করতে হবে।
‘আমি কখনও খবরের কাগজের শীর্ষস্থানীয় খবর পোস্ট বা শেয়ার করি না।