পাঁচ
হঠাত্ একটা আলোর ঝলকানিতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল ।
চোখ মেলে তাকালাম ।নীলছায়াটা আর আমাকে ঘিরে রেখেছে না ।আর আমি মহাশূন্যেও নেই ।আমি চারপাশে আবার চোখ বুলালাম ।একোন মায়ার রাজ্যে চলে এলাম আমি ।বিছানা ছেড়ে উঠে দাড়ালাম ।কি সুন্দর ঝরনা চারদিকে ।জায়গাটা মনে হলে পাহাড়ের ভিতর কিংবা অন্যকিছুর ভিতর ।আরো আশ্চর্যের বিষয় এখানকার সূর্যটা নীল ।পানি নীল এমন কি আমি এতখন যে বিছানায় শুয়েছিলাম সব কিছু নীল ।শুধু একটা জিনিস নীল না ।আর ওটা হচ্ছে আকাশ ।গাঢ় হলুদ রঙের আকাশ ।তারমাঝে নীল সূর্যটাকে একটা দু রঙা ছবির মত মনে হচ্ছে ।কিন্তু কাওকে তো দেখছি ।এইসব যখন আছে তখন প্রাণীতো থাকবে ।আর কেউ না থাকলে আমাকে এখানে আনল কে?আমি চারপাশে চোখ বুলালাম ভালো করে ।যদি কাওকে পাওয়া যায় !কিন্তু চোখ বুলিয়ে অবাক হয়ে গেলাম আরো বেশি ।একি !একিতাজ্জব ব্যাপার !একটা গাছও নেই কোথাও ।তবে স্পন্সের মত নরম কি যেন গজিয়ে আছে সারা মাঠ জুরে ।এগুলোর রঙ ও নীল ।
¤কিরে অভি ?
কে যেন পিছন থেকে আমাকে ডাকল ।স্বরটা আমার অনেক পরিচিত বলে মন হচ্ছে ।আমিদ্রুত পিছন ফিরে তাকালাম ।দেখলাম অবাক বিস্ময়ে মিতুল আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।ঠিক তখন ওর পিছনের ঝরনার পানি যেন ফুরে দুটোহাত বেরোলো ।
ওটা উলু ।উলু কিন্তু আমাকে দেখে মোটেও অবাক হলনা বরং ও মিটি মিটি করেহাসতে লাগল ।
ছয় .
এদিকে অভিদের বাড়িতে হুলস্থল কান্ড ।কি অবাক করা কান্ড ।ছেলেটা গেল কোথায় ।কেউ কেউ বললঃ যে বাঁদর নিশ্চয় পালিয়েছে । আবার কেউ বললঃ সেই ছায়াটায় হয়তো ধরে নিয়ে গেছে ।
কিছুখন পর পুলিশদের বকতে বকতে প্রবেশ বুড়ো ওঝা ।এসেই ঝাটা নিয়ে নানা রকমঅঙ্গিভঙ্গি শুরু করল ।তারপর গুরু গাম্ভীর্য কন্ঠে বললেনঃ এ নিশ্চয় পাজি লক্ষিছাড়া ভুষন্ডিরচরের হালুয়া ভুতের কান্ড । কিন্তু ওনার কথা কেউ কানেই নিলনা।ওনি রেগেমেগে অনেক ঘাটাঘাটি করে পাচশটা টাকা খসিয়ে তারপর চলে গেলেন ।
অভির মা বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিল ।আর অভির বাবা তার অবস্থা আরও খারাপ ।চেয়ারে পুলিশের কথায় জবাব নিচু স্বরে দিতে দিতে তিনি ভাবনা আর চিন্তার গহ্বরে হারিয়ে গেলেন ।ওনার খালি ঘুরে ফিরে একই কথা আসছে পর পর তিনটা ছেলে গেল কয় ?
সাত .
¤আমরাতো এখানে বেশ ভালোইআছি !নির্বিক ভাবে বলল উলু ।
¤হ্যা কিন্তু …
কি যেন বলতে গিয়ে আটকে গেল অভি ।
¤আবার কিন্তু কিরে ?
¤ঐ মা বাবার জন্য আর সবুজপৃথিবীটার জন্য মনটা ভীশণ পুড়েরে ! বেদনাবিধুর কন্ঠে বলল অভি ।
¤হ্যা হ্যা আমারও ।অভির কথায় সহমত জানাল মিতুল ।
¤তোমাদের স্যার ডাকছেন!ওদের পিছন দিকে থেকে একটা যান্ত্রিক স্বর ভেসে এল ।
চমকে ওরা পাই করে পিছনের দিকে তাকাল ।
…………..ক্রমানুসারে…….
৩য় পর্ব আজ রাতে পাবেন ।
চালিয়ে যান ।
ধন্যবাদ ।
লিখে যাব পুরোটা ।পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ।
চলুক । ছবি সহ ।
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
আবারও আরেকটি জটিল পর্ব। ওহ! চরম লাগছে।
আর পোষ্ট একটা ছবি দিলে আরও চরম লাগত। ধন্যবাদ
আমি ভাই মোবাইলে লিখি ।মোবাইলে ছবি ডিজাইন করতে পারিনা ।তাই ছবি দিতে পারছিনা বলে আমি দুঃখিত ।যা হোক পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
কেন ? পিসি নাই?
না ভাই ।আমি নেট জগতে যাই করি সবকিছু আমার Nokia 2700c মোবাইল দিয়ে ।আমার কম্পিউটার নেই ।
আমারও নাই । আমার যত যা সামান্য কিছু সব মোবাইল থেকে । আপনার দুঃখ আমি বুঝতেছি । সেই সাথে মোবাইলেরও । আমার মোবাইলের চেহারা তো পাল্টে গেছে । দেখলে চেনাই যায়না । এত দিনে আমার মত একজন অভাগা পেলাম ।