বর্ণান্ধতা কি?
বর্ণান্ধতা বা বর্ণান্ধত্ব বা বর্ণবৈকল্য( Color Blindness )হলো মানুষের, কতিপয় রঙ দেখার, সনাক্ত করার বা তাদের মধ্যে পার্থক্য করার অক্ষমতাজনিত এক প্রকার শারীরিক বৈকল্য।
কারণ ?
বর্ণান্ধতা জন্মগত কিংবা অর্জিত হতে পারে। জন্মগত বর্ণান্ধতার কারণে লাল ও সবুজ রঙয়েই বেশি সমস্যা হয়, আর অর্জিত বর্ণান্ধতার কারণে নীল ও হলুদ রঙ সনাক্ত করতে সমস্যা হয়।
বর্ণান্ধতার ব্যাখ্যা:
মানুষের চোখের ভিতরে রেটিনায় দুই ধরনের আলোকসংবেদী কোষ (photoreceptor) আছে। এরা হল – রডকোষ (rod) এবং কোন্কোষ (cone)। কোন্কোষ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন রং চিনতে পারি এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি। অর্থাৎ আমাদের রঙিন বস্তু দর্শনে কোন্কোষগুলো দায়ী। রডকোষগুলো শুধু দর্শনের অনুভূতি জাগায়, কিন্তু কোন ধরনের রং দেখতে/চিনতে সাহায্য করে না।
কোন্ তিন ধরণের। আর এই তিন ধরণের কোন্ লাল (R), সবুজ (G) ও নীল (B) -এই তিনটি মৌলিক রং সনাক্ত করতে পারে। চোখের রেটিনায় এই তিন প্রকারের কোন্-এর যেকোন একটি, দুটি বা সবগুলির অনুপস্থিতি অথবা ত্রুটিই হলো বর্ণান্ধতার মূল কারণ। কোনো ব্যক্তির সবগুলো কোন্ই যদি ত্রুটিযুক্ত হয়, তাহলে তিনি সব রংকেই ধুসর দেখবেন। বর্ণান্ধতা এমনই মারাত্মক হয় যে, কোনো ব্যক্তি লাল রঙের রক্ত দেখলেও তা যে রক্ত, তা সনাক্ত করতে পারে না।
বর্ণান্ধতা যদি কৈশরেই নির্ণয় করা যায়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে তা সুস্থ করা সম্ভব হয়।