ব্যাকআপ নেওয়ার জন্য আপনার ডিস্কের সঠিক জায়গা নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মনে করুন আপনার ফাইলগুলোর জন্য ৩ টেরাবাইট জায়গা লাগবে, সুতরাং আপনি ৫ টেরাবাইটের হার্ডডিস্ক কিনবেন।
ব্যাকআপের সাইজের জন্য কিছু দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যেমন-
১. ডাটা টাইপঃ ডাটা টাইপ সরাসরি ডিডুপ্লিকেশনে প্রভাব ফেলে। যদি আপনার ডাটা টাইপের সংমিশ্রণ ডিডুপ্লিকেশনের সহায়ক হয় এবং বড় অনুপাতের (৫০:১) ডিডুপ্লিকেশন থাকে, তাহলে এই ডিডুপ্লিকেট ডাটার জন্য কম জায়গার দরকার হবে। যদি ডাটার সংমিশ্রণ ভালোভাবে ডিডুপ্লিকেট না হয়, তাহলে আপনার একটি বড় হার্ডডিস্কের দরকার হতে পারে।
আসুন জেনে নেই, ডিডুপ্লিকেশন কি?
ডিডুপ্লিকেশন হচ্ছে, ডাটা সঙ্কুচিত করার একটি বিশেষ উপায়। এটি মূলত ডুপ্লিকেট ডাটা রিমুভ করার একটি উপায়।
২. ডিডুপ্লিকেশন মেথডঃ ডিডুপ্লিকেশনের অনুপাতের উপর ডিডুপ্লিকেশন মেথড অনেক প্রভাব ফেলে। সব ডিডুপ্লিকেশনের পন্থা একই রকম হয় না।
৮ কিলোবাইট ব্লক লেভেলের সাথে বিভিন্ন সাইজের কনটেন্ট সবচেয়ে ভালো ডিডুপ্লিকেশন অনুপাত দেয়। সাধারনত এটি ২০:১ হয়।
৬৪ কিলোবাইট এবং ১২৮ কিলোবাইটের নির্দিষ্ট ব্লক সর্বনিম্ন ডিডুপ্লিকেশন অনুপাত দেয় এবং এটি হচ্ছে ৭:১।
৩. ধারণক্ষমতাঃ ডিডুপ্লিকেশন বৃদ্ধি পেলে ধারণক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। অনেক বিক্রেতা বলবে যে, তারা ২০:১ অনুপাতে ডিডুপ্লিকেশনের অনুপাত পাবে, কিন্তু আপনি হিসেব করে দেখবেন যে তাহলে ধারণ করার ক্ষমতা ১৬ সপ্তাহ থাকে। একটি উদাহরণের মধ্য দিয়ে বলা যেতে পারে,
আপনি যদি ১০ টেরাবাইট ডাটা ৪ সপ্তাহ ধরে রাখেন, তাহলে ডিডুপ্লিকেশন ছাড়াই আপনি ৪০ টেরাবাইটের মত ডাটা ধারণ করে রাখতে পারবেন। ডিডুপ্লিকেশন সহ, সাপ্তাহিক ২ শতাংশ পরিবর্তনের হারে, আপনি মোটামুটি ৫.৬ টেরাবাইট ডাটা ধারণ করে রাখতে পারবেন।
সুতরাং ডিডুপ্লিকেশনের অনুপাত হবে, ৭:১:১ (৪০ টেরাবাইট / ৫.৬ টেরাবাইট = ৭:১:১)।
এখন আপনার যদি ১০ টেরাবাইট ডাটা থাকে এবং আপনি ১৬ সপ্তাহ ধরে ধারণ করে রাখেন, তাহঅলে ডিডুপ্লিকেশন ছাড়া আপনি ১৬০ টেরাবাইট ডাটা (১০ টেরাবাইট * ১৬ সপ্তাহ) ধারণ করে রাখতে পারবেন। আর ডিডুপ্লিকেশন সহ, ২ শতাংশ সাপ্তাহিক পরিবর্তন হারে আপনি ৮ টেরাবাইট ডাটা ধারণ করে রাখতে পারবেন, যেখানে ডিডুপ্লিকেশনের অনুপাত হবে ২০:১ (১৬০ টেরাবাইট / ৮ টেরাবাইট = ২০:১)।
৪. রোটেশনঃ চক্রঘতি বা রোটেশন (Rotation) আপনার ব্যাকআপের আকারের উপর অনেকাংশে প্রভাব ফেলে। আপনি যদি প্রতি রাতে ব্যাকআপ নিতে চান তাহলে, আপনার একটি বড় আকারের সিস্টেমের প্রয়োজন হবে। বিভিন্ন শিডিউলে রোটেশোনের মাধ্যমে ব্যাকআপ নেওয়া হয়। পুরো ব্যাকআপ ফাইলকে বিভক্ত করে ব্যাকআপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন- আপনার পুরো ব্যাকআপের আকার যদি ৩০ টেরাবাইট হয়, তাহলে ৩ টি ভাগে বিভক্ত করে প্রতি রাতে ১০ টেরাবাইট করে ব্যাকআপ নেওয়া যেতে পারে।
৫. ক্রস প্রোটেকশনঃ দুই ধরণের পরিস্থিতে-
ক. আকারের পরিস্থিতি ১: মনে করা যাক, আপনি যদি ক সাইটের ডাটাকে খ সাইটে রাখবেন রিকভারির জন্য, তাহলে ক সাইটের যে আকার থাকবে খ সাইটেও অনুরুপ একই আকার থাকতে হবে।
খ. আকারের পরিস্থিতি ২: এইবার মনে করা যাক, আপনার সিস্টেমের ক সাইটে ১০ টেরাবাইট ডাটা এবং খ সাইটেও ১০ টেরাবাইট ডাটা আছে, আপনি যদি ক সাটের ডাটা খ সাইটে রাখতে চান, তাহলে দুটো সাইটেই একটি বড় আকারের সিস্টেম থাকতে হবে।
খুব ভালো একটি টিপস। ধন্যবাদ ভাই।