তারা বলেন, একদিকে চলছে প্রচণ্ড মজুরি শোষণ অন্যদিকে, কারখানার ভেতরে শারীরিক-মানসিক নিপীড়ন ও জীবনের ভয়াবহ নিরাপত্তাহীনতা (রানা প্লাজা, তাজরীন, স্মার্ট ফ্যাশন, স্পেকট্রামসহ অনেক উদাহরণ রয়েছে)। ন্যায্য আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীর অযৌক্তিক ছাঁটাই, শারীরিক অত্যাচার, মাস্তান বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর দমন-পীড়ন অব্যাহত আছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বুধবার গাজীপুরের এ নারী শ্রমিক মনে করিয়ে দিচ্ছেন, তিনি একবার শ্রমিক হিসেবে নিপীড়িত আর একবার নারী হিসেবেও নিপীড়িত। ফলে ওই কারখানার নিপীড়নকারী কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বর্তমান শ্রম আইন (সংশোধনী) ২০১৩ তে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী যে ধারাসমূহ বাস্তবায়ন করার তৎপরতা ও শোরগোল চলছে তা এ মূহুর্তে বন্ধ করতে হবে
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, শ্রমিক স্বার্থবিরোধী এ শ্রম আইন (সংশোধনী) ২০১৩ পাস হলে শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত, ছাঁটাই ও বরখাস্ত করার অবাধ ক্ষমতা তৈরি হবে যা শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর ভয়াবহ নিপীড়নমূলক আয়োজন। মূলত এ আইন পাস হলে নিপীড়নকারী ও মুনাফাবাজ মালিকই লাভবান হবেন এবং ভবিষ্যতে সস দোষী মালিকই পার পেয়ে যাবেন। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে অবিলম্বে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী শ্রম আইন বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রবর্তন ও সব কারখানায় যেকোনো ধরনের শ্রম নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানান।