আমি বই পাগল মানুষ… বই নিয়ে আমার আলাদা একটা দুনিয়া আছে… আমি নানা ধরণের বই পরি… আমার জীবনে কত লেখকের কত বই পড়েছি তার ইয়াত্তা নেই… সবার ই প্রিয় লেখক থাকে আমারও আছে… আমার প্রিয় লেখক জাফর ইকবাল । আমি জানি তিনি সারা দেশে অনেক তরুণের কাছে প্রিয় লেখক। আজ তার সম্পর্কে আমার ব্যাক্তিগত কিছু মতামত তুলে ধরব। প্রথমেই বলে নেই মানুষ যখন বই লেখে তখন সে যাই লেখে না কেন সেই লেখাতে তার মতাদর্শ তার চিন্তাধারা তার বিশ্বাস অনেক কিছুই ফুটে ওঠে।
আমাদের সবার প্রিয় জাফর ইকবাল সম্পর্কে এদেশে কিছু মানুষ একটি কথার প্রচলন করেছে যা হল “তিনি একজন নাস্তিক” । আমি এই কথার সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি। কারণ আমি তার জীবনে লেখা যত বই আছে তার ৯০% ই পড়েছি। আমি কোথাও ধর্ম বিদ্বেষী মন্তব্য পাই নাই। হ্যাঁ তার বইয়ে একটা মূল জিনিস থাকে সেটা হচ্ছে তিনি জামায়েত ইসলামীর বিরুদ্ধে লিখেন। এবং বেশির ভাগ বই এ ১৯৭১ এর বিষয় গুলো নিয়েই। এখন কেউ যদি বলেন জামায়ত এর বিপক্ষে কথা বলা আর ইসলামের বিপক্ষে কথা বলা একি তবে আমি আপনাদের মাওলানা ভাসানীর কথার সাথে সুর মিলিয়ে বলব নীল নদের পানি নীল নয় জামায়েত ইসলামী ও ইসলাম না।
আমি সব সময় বলি ১৯৭১ সালে যার পরিবারে অন্তত একজন হলেও মারা গেছে সে কোণদিন জামায়াত কে সাপোর্ট করবে না। সেখানে ১৯৭১ সালে জাফর স্যার এর বাবা কে জামায়ত এর রাজাকার রা ধরে নিয়ে মেড়ে ফেলছে। লাশ পর্যন্ত ফেরত দেয় নাই। সেই দলে বিরুদ্ধে লিখবে না তো কি আপনার বিরুদ্ধে লিখবে। আর এই লেখার কারণেই তাকে আজ নাস্তিক বলা হচ্ছে। আপনি জানেন তিনি কত বড় দেশ প্রেমিক। তিনি আমেরিকা তে বেল ল্যাবরেটরি তে ছিলেন। সেই চাকরি ছেরে দিয়ে দেশে আসছেন দেশের জন্য কিছু করবেন বলে। এমন কয়জন করতে পারে আমাকে দেখান।
কিছুক্ষন আগে একটা ভিডিও দেখলাম। খুব সম্ভবত স্যার এর ইউনিভার্সিটির কোন অনুষ্ঠান এর। সেখানে তিনি মেয়েদের সাথে নাচতেছেন। এটা নিয়ে এক এক জন গালি সম্ভার নিয়ে উপস্থিত। বুজতেই পারছেন কারা গালি দিচ্ছে। ১৯৭১ এর সেই সব রাজাকারের বিবির বাচ্চা রাই গালি দিচ্ছে। আপনারা যারা শিক্ষিত বিশেষ করে ইউনিভার্সিটি তে পরেছেন বা পড়ছেন তাদের কাছে এই ব্যাপারটা কিছুই না। কারণ যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অনুষ্ঠান হয় সেখানে যদি নাচের কোন আয়োজন থাকে আর সেখানে কোন স্যার থাকে বিশেষ করে তিনি যদি মিশুক টাইপের হন। তাহলে তাকে নাচে যোগ দিতেই হয়। অনেকের ইচ্ছা না থাকেও যোগ দিতে হয়। হ্যাঁ নাচানাচি ইসলামে জায়েজ নাই সেটা আমি জানি। কিন্তু সামাজিকতা রক্ষার জন্য অনেক কেই অনেক কিছু করতে হয়। আমি আওনেক শীর্ষ জামায়ত নেতা কে দেখেছি যারা এসব অনুস্টানে যান। কারণ চাকরির খাতিরে যেতে হয়। জাফর স্যার অ তার ব্যতিক্রম নন। সুতরাং এসব ফালতু বিষয় নিয়ে আলোচনা বন্ধ করে ভালো কিছু করেন। নিজের চরকায় তেল দেন। নাইলে দুই দিন পর চরকা আর ঘুরবে না।
একজন দেশপ্রেমিক লক্ষ রাজাকার হতে উত্তম। সেটা শুধু দেশের জন্য না সব মানুষের জন্য ও বটে। আমার আইডল জাফর ইকবাল অন্তত একটা ক্ষেত্রে তা হল দেশ প্রেম। কারণ তার জণ্যি আমি আমার দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পেরেছি। ধন্যবাদ স্যার কে।
ডাঃ এহসান আগে আপনি প্রমাণ করুন যে স্যার নাস্তিক
এখনও কি তাই মনে করেন?
now amraro sondeho nai…. ohetuk lekhata likhlam…
সন্দেহ আছে ভাই। জটিল লিখছেন
ইস্লামিক মাইন্ডের না হইলেই মানুষ নাস্তিক হয়ে যায় না… ফিরোজ ভাই আপনি চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন… ছাত্রদের পাল্লায় পড়লে যে কেউ নাচতে বাধ্য… যা হইছে উনার ক্ষেত্রে… আমার মূল বক্তব্য সেটাই ছিল যে একজন মানুষ যা না তাকে সেটা কেন বলা হবে… আমি থাবার ব্লগ পড়ছি… আসিফের ব্লগ পড়ছি… আরও অনেক স্বঘোষিত নাস্তিক নামক ভণ্ড দের ভন্ডামী দেখছি তাদের সাথে একজন মানুষের ছোট ছোট অনিচ্ছা কৃত ভূল দেখিয়ে জোর করে নাস্তিক বানানোর চেষ্টা এক প্রকার মূর্খতা…
সুন্দর বলেছেন ধন্যবাদ
ভাই ডা: রায়হানুল এহসান আপনি ১০০% সঠিক বলেচেন .
কিছুক্ষন আগে একটা ভিডিও দেখলাম। খুব সম্ভবত স্যার এর ইউনিভার্সিটির কোন অনুষ্ঠান এর। সেখানে তিনি মেয়েদের সাথে নাচতেছেন। এটা নিয়ে এক এক জন গালি সম্ভার নিয়ে উপস্থিত। বুজতেই পারছেন কারা গালি দিচ্ছে। ১৯৭১ এর সেই সব রাজাকারের বিবির বাচ্চা রাই গালি দিচ্ছে। আপনারা যারা শিক্ষিত বিশেষ করে ইউনিভার্সিটি তে পরেছেন বা পড়ছেন তাদের কাছে এই ব্যাপারটা কিছুই না। কারণ যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অনুষ্ঠান হয় সেখানে যদি নাচের কোন আয়োজন থাকে আর সেখানে কোন স্যার থাকে বিশেষ করে তিনি যদি মিশুক টাইপের হন। তাহলে তাকে নাচে যোগ দিতেই হয়। অনেকের ইচ্ছা না থাকেও যোগ দিতে হয়। হ্যাঁ নাচানাচি ইসলামে জায়েজ নাই সেটা আমি জানি। কিন্তু সামাজিকতা রক্ষার জন্য অনেক কেই অনেক কিছু করতে হয়। আমি আওনেক শীর্ষ জামায়ত নেতা কে দেখেছি যারা এসব অনুস্টানে যান। কারণ চাকরির খাতিরে যেতে হয়। জাফর স্যার অ তার ব্যতিক্রম নন। সুতরাং এসব ফালতু বিষয় নিয়ে আলোচনা বন্ধ করে ভালো কিছু করেন। নিজের চরকায় তেল দেন। নাইলে দুই দিন পর চরকা আর ঘুরবে না।
“”হায়রে দেশ প্রেমিক”” .আসলে উনি জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে না উনি ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করসেন .আপনি কোন কোন জামাত এর নেতা কে নাচতে দেখেচেন তাদের লিস্ট টা দিন .
আরাক টা লেখা দেখেন লিখসেন “”আনিসুল হক””
———————————————————-
ছহি রাজাকারনামা
আনিসুল হক
আর তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ, যে রাজাকার। নিশ্চয়ই রাজাকারগণের জন্যে অতীতের চাইতে ভবিষ্যতকে উত্তম করিয়া সৃজন করা হইয়াছে। অতএব তোমরা তোমাদের প্রভু পাকিস্তানের প্রশংসা করো; নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু পাকিস্তানীরা ক্ষমাশীল।
যখন তোমাদিগকে বলা হইবে নেতা নির্বাচন করো, তখন তোমরা সেই ব্যক্তিকেই নির্বাচন করিবে, যাহার রাজাকারগিরি প্রমাণিত। আর তাহার মতো মূর্খ কে আছে, যে রাজাকার চিনিয়াও তাহাকে সম্মানিত না করিলো, আখেরে ইহারাই হইবে অভিশপ্ত। ইহাদের জন্যে সুকঠিন দারিদ্র্য অপেক্ষা করিতেছে। আর যে ব্যক্তি রাজাকার চিনিলো, এবং তাহাকে সম্মান করিলো, এবং তাহার পদাঙ্ক অনুসরণ করিলো, ইহাদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে সুমিষ্ট ফল, সুন্দরী রমণী আর সুদর্শন পুরুষ।
অনন্তর তোমাদের মধ্যে একটি স্বতন্ত্র গোষ্ঠীর সৃষ্টি হইবে যাহারা রাজাকারী রজ্জু উত্তমরূপে ধারণ করিবে, আর যাহারা রাজাকারী তরিকা আদমদিগের মধ্যে উত্তমরূপে প্রচার করিবে। যাহারা রাজাকার হিসাবে বাহির হয়, তাহারা শান-শওকতের পথে চলে।
সেই ব্যক্তিই উত্তম রাজাকার, যে বিবাহ করিবে একটি, দুইটি, তিনটি, চারটি, যেরূপ সে ইচ্ছা করে আর তাহার জন্যে বৈধ করা হইয়াছে ডান হাতের অধিকারভূক্ত দাসীদের, আর তাহারা ভোগ করিতে পারিবে বাঙ্গালী রমণীগণকে, অপিচ তাহাদের সহিত আদল করিবার দরকার হইবে না। স্মরণ রাখিও, মালেগণিমতগণের মহিত মিলিত হইবার পথে কোনরূপ বাধা থাকিলো না।
আর মনে রাখিবে, যে রাজাকারী পথে বাহির হয়, সে একা নহে, সৌদি-মার্কিনীরা তাহার সঙ্গে রহিয়াছে। সেই ব্যক্তি হতভাগ্য, যে রাজাকার হইতে সাহস করিলো না এবং মনে মনে বলিলো যে, আমি রাজাকার হইবো না, কেননা পশ্চাতে লোকে আমাকে গালি দিবে। আর প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার একেকটি আঙুলের জন্যে রহিয়াছে দশ দশটা পুরস্কার, আর যে ব্যক্তি একজন মুক্তিযোদ্ধার ডানপাঞ্জা কাটিতে সক্ষম হইলো, তাহার বরাতে ৭০ গুণ বেশি পেট্রোডলার লেখা হইলো। নিশ্চয়ই তোমাদের জন্যে রাজাকারী কাজের জন্যে পুরস্কার রহিয়াছে।
আর তোমরা কি অতীত হইতে শিক্ষাগ্রহণ করিবে না? গ্যালিলিও নামের এক পাপিষ্ঠ অতীতে সত্য অস্বীকার করিয়াছিল, এবং সে কি প্রাপ্ত হয় নাই চরম শাস্তি? আর রাজাকারগণ যাহাকে শাস্তি দিতে ইচ্ছা করেন, তাহাকে নিজ হস্তে শাস্তি দেন। আঙুল কাটিয়া ফেলা হইতে শুরু করিয়া মুণ্ডু কাটিয়া ফেলা – বিপথগামীদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে ভয়ঙ্কর শাস্তি। আর তোমরা কি সেই গোষ্ঠীর বংশধর নহ, যাহারা অতীতে তিরিশ লক্ষ বেদ্বীনকে কতল করিয়াছে? নিশ্চয়ই আমগাছ হইতে আম এবং রাজাকার গোষ্ঠী হইতে রাজাকার উৎপন্ন হয়।
অচিরেই দেশে নিখিল পাকিস্তান রাজাকার সংসদ গঠিত হইবে। আর রাজাকার কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে সকল লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছাড়িয়া দেওয়া হইবে। আর রাজাকার প্রার্থীদের জন্যে চাকুরির বয়সসীমা আটত্রিশ বছর করা হইবে। এবং অবস্থা অচিরেই এইরূপ হইবে যে, রাজাকার সার্টিফিকেট নকল করিয়া লোকে রাজাকার সাজিতে থাকিবে। তখন সুন্দরী রমণীগণ সেনাকর্তাদের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইহবার বদলে রাজাকার বরের স্বপ্নে ঘামিতে থাকিবে। কন্যাবৃন্দের মাতাগণ রাজাকার জামাতার গর্বে পাড়া মাতাইবে।
অচিরেই কাহার কল্লা থাকিবে কাহার থাকিবে না, তাহা নির্ধারণের দায়িত্ব ‘ছাই-দি’ ‘ছা-য়েব’দের হস্তে অর্পিত হইবে। আর যে ব্যক্তি দাড়িপাল্লায় ভোট দিলো, সে-ই মাসুম শিশু হইয়া গেল। ব্যালট পেপার তাহার ডান হাতে আসিবে। ব্যালট পেপার দেখাইয়া স্বর্গে প্রবেশ করা যাইবে। যে ব্যক্তি রাজাকার তহবিলে চাঁদা দিলো, সে-ই ৭০ গুণ ফেরত পাইলো। চাঁদার রসিদ দেখাইলে স্বর্গের দুয়ার খুলিয়া দেওয়া হইবে। আর তোমরা রাজাকারের প্রশংসা করো, আর রাজাকারদের সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই রাজাকারদের তহবিল পরিপূর্ণ। তাহারা তোমাদিগের মাসোহারার ব্যবস্থা করিয়া দিবে। এবং তোমরা রাজাকার মাহাত্মে বিশ্বাসীগণের নিকট জানাইয়া দাও যে, তাহাদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে উত্তম শরাব।
আর তোমরা মওদুদীবাদ উত্তমরূপে কল্বের মধ্যে গাঁথিয়া ফেলো। তিনিই শেষ দার্শনিক, ইহার পর আর কোনো দার্শনিক আসিবে না। অতপর তাহার দেওয়া ব্যাখ্যাই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
অচিরেই রাজাকার দেশের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হইবে, এবং অচিরেই সকল কুফরি মতবাদ প্রচার ও শিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষিত হইবে। আর তখন তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, বলো, তোমাদের দেশ কি? তোমাদেও মধ্যে যাহারা খাঁটি রাজাকার, তাহারা বলিবে, কেন, পাকিস্তান? পুনরায় তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, তোমাদের দলপতি কে? তোমাদের মধ্যে যাহারা কল্যাণময়, তাহারা বলিবে, কেন, মওদুদী? পুনরায় তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, তোমাদের দলপতি কে? তোমাদের মধ্যে যাহারা ইহলোকের ভালো বোঝে, তাহারা জবাব দিবে, কেন, গোলাম আযম? আর তাহাদের জন্যে সুসংবাদ। তাহাদের জন্যে অপেক্ষা করিতেছে রাষ্ট্রের শীর্ষপদ আর অনন্ত যৌবনা নারী আর অনন্ত যৌবন তরুণ। কে আছেন, যে উত্তম সন্দেশ, মসৃণ তলদেশ ও তৈলাক্ত গুহ্যদেশ পছন্দ করে না।
অনন্তর সমস্ত প্রশংসা রাজাকারগণের, যাহারা রক্ত হইতে তখ্ত কায়েম করে।
, ১৯৯১ সালের ৩০ নভেম্বর ‘পূর্বাভাস’ পত্রিকায় প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক, আনিসুল হক লেখাটা লিখেছিল।
“”উপরের লেখা টা সম্পূর্ণ আল কুরআনের বাংলা অর্থের parodi .আপনি একজন মুসলমান হয়ে এটা কোন চোখে দেখবেন?
আমিও চাই রাজাকারদের বিচার হোক কিন্ত রাজাকার দের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে কোনো ধর্মের বিষয় নিয়া আসবেন কেন ?এ অধিকার তো আপনাকে কেও দেই নি .
আপনি হয়ত বলবেন আমি আনিসুল হোক কে কেন এখানে নিয়ে আসলাম.আসোলে তারা দুজন একই মুদ্রার এপিট আর ওপিট.
আপনিতো নাস্তিক এর কথা দিয়ে শুরু করে রাজনীতি নিয়ে আসলেন। তিনি যে নাস্তিক নন সেইটা প্রমাণ করেন। না পারলে শিরোনাম বদলে ফেলুন। নাস্তিক আর দেশ প্রেম দুইটা ভিন্ন ব্যাপার। জাফর ইকবাল সার আমারও প্রিয় লেখক। তবে কত % বই পড়েছি এটা আপনার মতো নিশ্চিত করে বলতে পারবো না। সুযোগ হলে আমার বাসায় এসে দেখে যাবেন অন্যান্য লেখকের সাথে তারও বেশ কিছু বই আছে। তার লেখায় প্রকাশ না পেলেও তার বিভিন্ন কার্যক্রমে আমার মনে হয় তিনি ইসলামী চিন্তা চেতনার লোক নন।
ইসলামী চিন্তা চেতনার লোক নন !! যাক তার মানে বুঝা গেল তিনি যে নাস্তিক তার কোনো প্রমান নেই ঠিক তো ??
দেখুন ভাই আমি এইসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়না তবে আমি নিজেকে দাবি করি একজন চমত্কার মুসলিম যদিও তেমন নামাজ রোজা করিনা তবে বিশ্বাস আছে ! যখন এরকম শুনলাম জাফর ইকবাল স্যার এর নাচার জন্য কিংবা জমায়েত নিয়ে বিরোধিতাকে নাস্তিক বলা হয় তখন বেশ দুশ্চিন্তায় পরি ! কারণ নাস্তিক মানে যতটুকু জানি যার খোদার উপর বিশ্বাস নেই কিন্তু ইসলামের সব বিষয়ের উপর মানুষিকতার উপর তা নির্ভর করে কিনা নিশ্চিত ছিলাম না যখন জানতে পারলাম স্যার কে নাস্তিক বলা হচ্ছে কারণ চিন্তা ভাবনায় কিচুতত মিল রয়েছেই ! তবে আপনার লিখা দেখে কিন্তু এখন আর সেই ভয় কিংবা দুশ্চিন্তা নেই এখন মোটামুটি নিশ্চিত আমি একজন আস্তিক কিন্তু ইসলামী সব মানুষিকতার হয়ত অধিকারী না ! সেইটা ভালো নাকি খারাপ তা জানিনা , তবে নিসন্দেহে তা নিশ্চয় নাস্তিক অপেক্ষা ভালো !!