নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পিটুনিতে আলোচিত সামছুদ্দিন মিলন হত্যার ঘটনায় চার পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রশীদের নেত্বত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গতকাল মঙ্গলবার এসপির কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিক উল্লাহ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম উদ্দিন শেখ, কনস্টেবল আবদুর রহিম ও হেমারঞ্জন চাকমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
মিলন হত্যার সময় তাদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। গত সোমবার রাতে পুলিশ সুপারকে রিপোর্টের খসড়া সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। গতকাল কোম্পানীগঞ্জ এসে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বিশ্বাস আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত রিপোর্টের আলোকে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মিলনের মায়ের করা মামলাটিরও যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। এদিকে নোয়াখালীর এসপি হারুন উর রশীদ হাজারী সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত রিপোর্ট পেয়েছি। এর আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ২৭ জুলাই কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নে আলাদা ঘটনায় গণপিটুনিতে ছয়জন নিহত হয় বলে দাবি করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে রহিমারটেক এলাকায় যে তিনজনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল, শামছুদ্দিন মিলন তাদেরই একজন। গণপিটুনিতে ছয়জনের নিহত হওয়া, ডাকাতি ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া মিলনের মা কহিনুর বেগমের দায়ের করা মামলাটি গত সোমবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কহিনুর বেগমের মামলায় কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য ও এক নারী সদস্যের স্বামীকে আসামি করা হয়।
মিলনকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনার সময় মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও গত রোববার একটি টেলিভিশনে সম্প্রচার করার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, মিলনকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে চিৎকার করে লোক জড়ো করে পিটুনি দেয়া হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হলে পুলিশের গাড়িতে করেই লাশ সরিয়ে নেয়া হয়। ওই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিক উল্লাহ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আকরাম শেখ, কনস্টেবল আবদুর রহিম ও হেমারঞ্জন চাকমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মিলন হত্যার নির্মম ভিডিও দেখুন http://www.youtube.com/watch?v=M5GdU-9SO8A&feature=related
post ta valo kintu onno bisoye post dan
ভাই আপনি সামু তে এই ধরনের পোস্ট দিয়েন , ওইখানে এগুলো দরকার, টি পি তে এই ধরনের পোস্ট আশা করা যায় না। তারপরেও ধন্যবাদ।
রাজু ভাই এটা আরো আগেই টিভিতে দেখেছি। খুবি মর্মান্তিক। আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে ঐ পুলিশের আমি বারোটা বাজাইয়া ছারতাম। রাজু ভাই প্রযুক্তি ও কম্পিউটার রিলেটেড পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করেন। ধন্যবাদ।