Latest posts by হিমু (see all)
- আসুন জানি এক তরুনের কথা - 27/07/2012
নাগা নারেশ কারুতুরা নামের এই যুবক মাদ্রাজের আইআইটি থেকে
আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারেন এখানে বিশেষত্বের কি আছে? এখন তো হাজারো ইঞ্জিয়ারিং ভার্সিটি থেকে পড়াশুনা শেষ করে এমন অনেকেই গুগলের মত… বড় বড় কোম্পানীতে চাকরি করছে।
২১ বছর বয়সী নারেশ অবশ্যই তাদের চেয়ে ভিন্ন এবং বিশেষ কেউ।তার বাবা একজন লড়ি চালক এবং মা গ্রামের একজন সাধারন গৃহিনী। মা-বাবা দুজনই অশিক্ষিত এবং সবচেয়ে বড় কথা নারেশের দুটি পা নেই।ছোট বেলায় এক এক্সিডেন্টে তিনি তার দুই পা হারান ।
নিজের পা হারানোর ঘটনা নারেশ বলেন এভাবে,’ছোটবেলায় আমরা পাশের শহরে এক আত্বীয়ের বাসায় যাচ্ছিলাম। তখন এত বাস ছিল না। আমরা একটি লড়িতে উঠে বসলাম।লড়িতে আরো অনেকেই ছিলেন। দোষটা আমারই ছিল,আমি একেবারে দরজার গায়ে গা লাগিয়ে বসেছিলাম। ছোটরা যেমনটা করে মজা পায়। রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল।হঠাত গাড়িটা ভাঙ্গা রাস্তায় ধাক্কা খেয়ে দরজা খুলে যায় এবং আমি একেবারে নিচে পড়ে যাই। লড়িটি পেছন দিকে লোহার কিছু রড নিয়ে যাচ্ছিল। সেই রড আমার দু পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। পাশের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আমাকে বাঁচানোর জন্য আমার দু পা কেটে ফেলতে হয়।’
ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনায় ভাল ছিলেন নারেশ। গৌতম জুনিয়র কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০০ এর মধ্যে ৫৪২ মার্ক পেয়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করেন বলে তাকে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুবিধা দেয়া হয়। তার ভাষায়,’ এই কলেজের বাৎসরিক খরচ ছিল ৫০,০০০ টাকা।যা আমার গরীব বাবা মায়ের জন্য অভাবনীয় ছিল।” এর পর আইআইটিতে চান্স পান ও পড়াশুনা করেন কম্পিউটার সায়েন্সে ।দিনের পুরো সময়টাই তাকে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতে হয়।
সবসময় হাসিখুশী,আশাবাদী আর উদ্দ্যোমী নারেশ বলেন,’উপরওয়ালা সব সময় আমাদের জন্য বিশেষ কিছু পরিকল্পনা করে রাখেন। তাই আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলে মনে করি।”
যারা গল্পটি পড়লেন আমি চাই তাদের সবাই এই বিশ্বাসটুকু রাখুন যে,যদি নারেশ এত প্রতিকূলতার পরও জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারেন,তবে আপনিও পারবেন।
।
সফলতা অর্জনে অনুপ্রেরণা ময়
:( …… আগিয়ে চলা
আহারে…কষ্ট লাগলো
সুন্দর টিওন …..দারুন ………..
বন্ধু তুমি এগিয়ে যাও.
আশীর্বাদ করি সুখী হও
আমাদের লিমনের কথা মনে পড়ে গেল :(
তার চলার পথ সুন্দর হোক ।