যুক্তি বাদী
Latest posts by যুক্তি বাদী (see all)
আসা করি সবাই ভাল আছেন আজকে চমৎকার একটি বিষয় খুজে বের করেছি ইন্টারনেট থেকে। wikipedia এবং google কে ধন্যবাদ জানাই সেজন্য। আজকের টপিকে আমরা জানব অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি বা Extrasensory perception কি এবং কিভাবে এটি কাজ করে বা এটির খানিকটা ইতিহাস সম্পর্কে। যারা এই বিষয়ে আগ্রহী আছেন এই পোস্ট টি পড়ে খুব মজা পাবেন আমার মতন।
অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি (ইংরেজীতে: Extrasensory perception) বলতে বোঝায় মনের বিশেষ ক্ষমতার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ। এক্ষেত্রে স্বভাবিকভাবে শারীরিক কোন উপায়ে তথ্য লাভ করা হয় না। পরিভাষাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন স্যর রিচার্ড বার্টন, ডিউক ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জে. বি. রাইন বিভিন্ন আধ্যাত্মিক ক্ষমতাকে ব্যাখ্যা করার জন্য অতিইন্দ্রিয় উপলব্ধিকে ব্যবহার করেন। অতিইন্দিয় উপলব্ধিকে অনেক সময় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় নামেও অভিহিত করা হয়। এই পরিভাষাটি সাধারণ উপায় ব্যতিরেকে বিশেষ উপায়ে তথ্য লাভকে নির্দেশ করে। যেমন- মনের দ্বারা অতীতকালের তথ্য লাভ।

প্যারাসাইকোলোজি হল অতিন্দ্রিয় সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক বিদ্যা। বিজ্ঞানীরা সাধারণত অতিইন্দ্রিয় উপলব্ধিকে অগ্রাহ্য করেন, কারণ এক্ষেত্রে কোন সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য অনুপস্থিত থাকে। এছাড়া পরীক্ষামূলক পদ্ধতি না থাকায় এ পদ্ধতির কোন সুস্পষ্ট নির্ভরযোগ্যতা না থাকার কারণে বিজ্ঞানীরা একে পুরোপুরি গ্রহণ করেননি।
ইতিহাস
১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জে. বি. ও তাঁর স্ত্রী লুসিয়া মনস্তাত্বিক গবেষণাকে পরীক্ষামূলক গবেষণায় উন্নীত করার চেষ্টা করেন। লুসিয়া রাইন মূলত স্বতঃস্ফূর্ত বিষয়গুলো নিয়ে এবং জে. বি. রাইন পরীক্ষাগারে কাজ করতে থাকেন। জে. বি. রাইন খুব সতর্কতার সাথে পরিভাষাসমূহ লক্ষ্য করেন এবং এজন্যে তিনি বাস্তব নিরীক্ষা চালান। এসময় কিছু সরল কার্ডের সেট উদ্ভাবন করা হয়। এগুলোকে বলে জেনার কার্ড। বর্তমানে এগুলোকে বলে ইএসপি কার্ড. এসব কার্ডে বৃত্ত, বর্গ, তরঙ্গাকৃতির রেখা, ক্রস এবং তারকার ন্যয় চিহ্ন রয়েছে। এরকম চিহ্নসম্বলিত পাঁচধরণের কার্ড ২৫ টি কার্ডের একটি প্যাকেটে থাকে।
একটি টেলিপ্যাথি পরীক্ষায় প্রেরক কার্ডসমূহের একটি সিরিজের দিকে লক্ষ্য করেন, অপরদিকে গ্রাহক চিহ্নগুলো অনুমান করেন। আলোকদৃষ্টি পরীক্ষার ক্ষেত্রে, কার্ডের সেটটি গোপন করা হয় এবং গ্রাহক অনুমান করতে থাকেন। পূর্বাহ্নে লব্ধ জ্ঞান বা প্রিকগনিশন পরীক্ষার ক্ষেত্রে, গ্রাহকের অনুমানের পর কার্ডগুলোর ধারা নির্ধারণ করা হয়।
এসকল পরীক্ষায় কার্ডের ধারা অবশ্যই যথেচ্ছভাবে থাকতে হবে, যাতে পূর্বেই এ ব্যাপারে অবহিত না হওয়া যায়। প্রথমে কার্ডগুলো হাত দিয়ে এলোমেলো করা হয় এবং পরবর্তিতে যন্ত্রের মাধ্যমে। ইএসপি কার্ড ব্যবহারের একটী সুবিধা হল, পূর্ব-প্রত্যাশার চেয়ে উত্তরের যথার্থতা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান সহজেই প্রয়োগ করা যায়। রাইন সাধারণ লোককে পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করেন এবং দাবি করেন, তারা প্রত্যাশার চেয়ে ভাল করেছে।
১৯৪০ সালে রাইন ও জে. জি. প্র্যাট ১৮৮২ থেকে অদ্যাবধি কার্ডভিত্তিক অনুমান সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা রচনা করেন। এর নাম এক্সট্রা-সেন্সরি পার্সেপশন আফটার সিক্সটি ইয়ার্স (Extra-Sensory Perception After Sixty Years)। এটি বিজ্ঞানের প্রথম মেটা-অ্যানালাইসিস হিসেবে স্বীকৃত।এতে রাইনের পরীক্ষার সকল প্রশ্নোত্তর সন্নিবেশিত আছে। এখানে ৫০টি পরীক্ষার কথা উল্লেখ আছে, এর মধ্যে ৩৩টিতে রাইন ছাড়াও অন্যান্য তদন্তকারীর ও ডীউক ইউনিভার্সিটি গ্রুপের অবদান রয়েছে। ৬১% স্বাধীন পরীক্ষার ফলাফল ইএসপি-এর সপক্ষে যায়। এসবের মধ্যে কলোরাডো ইউনিভার্সিটি এবং হান্টার কলেজ, নিউ ইয়র্কের মনস্তাত্বিকগণ সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন সর্বাধিক সংখ্যক বিচারকার্য সম্পাদন করেন। কিছু প্রশ্নোত্তরের ব্যর্থতা রাইনকে আরও গবেষণা করতে উৎসাহিত করে।
দারুণ লিখে যান
not incridible …
সুন্দর POST
একটি দারুন পোস্ট :)
প্রত্যেকটা তথ্য এর রেফারেন্স হাইপার লিঙ্ক করে দিতেন; ভালো লাগতো! :)