সালাম সবাইকে। আমরা জানি আমাদের বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে রয়েছে বেশ কিছু কুসংস্কার যা আমরা হয় বিশ্বাস না করতে চেয়েও এগুলোকে মানতে বাধ্য হয়ে থাকি আমাদের পরিবারের গুরুজনের কাছে। শুধু দেশেই নয় পৃথিবীর সব জায়গায় রয়েছে বেশ কিছু কুসংস্কার। কিন্তু সব কিছুর একটি ব্যাখ্যা আছে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি থেকে। তাহলে চলুন আজকে দেখি এমন কিছু কুসংস্কার যা আমরা এতদিন সত্য ভেবেছিলাম কিন্তু আসলে এগুলো শুধুই আমাদের মিথ্যা ভাবনা ছাড়া আর কিছু নয়।
পৃথিবীর নানান জায়গার অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু কুসংস্কার (পর্ব ১)
পৃথিবীর নানান জায়গার অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু কুসংস্কার (পর্ব ২)
প্যালপিটেশ (Palpitation) সপন্দন
হৃদয়ের একটা অনৈচ্ছিক কম্প্রমান অনুভুতি এবং চোখ ও পেশির চলাচলকে অনেকে অমঙ্গলের বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। শরীরের ডান পার্শ্বে সপন্দিত হলে তার দ্বারা সৌভাগ্য বোঝা যায়, কিন্তু তা যদি বাম পাশে অনুভুত হয় তবে তার জন্য দুর্ভাগ্য আসছে।
প্যানসি (Pansy) এক জাতীয় ফুল
উজ্জ্বল রঙে সৌন্দর্যমণ্ডিত ফুল, যেগুলো বাগানে প্রচুর ফোটে। মালীদের সতর্ক করে দেয়া হয় যদি সুন্দর আবহাওয়ার সময় একটা প্যানসি ফুল কেউ ছেড়ে তবে তা ঝড়বৃষ্টি ডেকে আনবে।
পেপার ব্যাগ (Paper bag) কাগজের থলে
একটা অসপষ্ট অথচ ইদানীংকালে কুসংস্কারে উপদেশ দেয় যে ঘরের মধ্যে একটা কাগজের থলে ফাটানোয় দুর্ভাগ্য বয়ে আনে।
পার্সলি (Parsley) শাক বিশেষ
অন্যান্য লতাগুল্মের মতো পার্সলিকেও অনেকগুলো জাদুকরী গুণ আরোপ করা হয়। প্রাচীন কুসংস্কারেও পার্সলিকে জড়িত করা হয় শয়তানের সাথে সম্ভবত এটা রোমানদের কবরের ওপরে পার্সলির চারা লাগানোর প্রথা থেকে এটা উ?ভুত হয়েছে এবং বলা হয়ে থাকে দুষ্ট লোকেরাই ভালো পার্সলি ফলাতে পারে। তদুপরি এর বীজ ফুটে বের হওয়ার জন্য নয়বার বুনতে হয় কারণ আটবারই সেগুলোকে শয়তান দাবি করে। এটাকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বীজাণু ধ্বংস করার প্রয়োজনের হেতু হিসেবে বলা হয় যে বীজগুলো ফোটার পূর্বে একবার দোযখে বা নরকে যায় এবং সেখান থেকে ফিওে আসে। পার্সলির বীজ কখনো একজন আগন্তুকের দ্বারা বপন করা যাবে না এবং সব সময় একজন মহিলার দ্বারা বপন করানোই ভাল। কারণ তাতে তার ফল বাড়াতে উৎসাহ যোগাবে।